ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের অবসান এটাই বড় অর্জন: নাজমুল হাসান

  • প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময়: ০৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
  • ১৯৩ সময় দেখুন

নাজমুল হাসান

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং দেশের সামগ্রিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, ‘৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো।

 

এই দেশ থেকে শেখ হাসিনার মতো একজন স্বৈরাচার, ভারত-অনুগত শাসনের অবসান ঘটানো।

 

আমরা বহু বছর ধরে একটি দমন-পীড়নমূলক শাসনব্যবস্থার মধ্যে থেকেছি, যেখানে একটা পোস্টার টানানো, একটা প্রতিবাদ সমাবেশ করা মানেই ছিল রিমান্ড, গুম কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যার ভয়। সেই বাস্তবতা থেকে আজ অন্তত আমরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি।’

 

আরও পড়ুন’

» ‘আমরা একটা জবাবদিহিমূলক, মানবিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব’

 

‘এখন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আগের মতো পুলিশি হামলা, গোয়েন্দা হয়রানি কিংবা রাতের বেলায় তুলে নিয়ে যাওয়ার আতঙ্ক নেই। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যাওয়া, গুমের শিকার না হওয়াই এ সময়ের একটি বড় অগ্রগতি।’

 

তবে, সব অর্জনের মধ্যেও সবচেয়ে বড় অপ্রাপ্তির জায়গা হলো– আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যার বিচার। এক বছর পার হতে চললেও কোনো মামলার বিচার শেষ হয়নি। কয়েকটি মামলার আদেশই আসেনি। ‘এটা ব্যথার’— বলেন নাজমুল। ‘আবার সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে, তাও বলা যাচ্ছে না। আমরা যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে রাজপথে নেমে ছিলাম, তার অনেকগুলো এখনো অপূর্ণ রয়েছে।’

 

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বারবার বলে এসেছি, ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। এ বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যেটা ইতিবাচক দিক। তবে, এটা এখনো সর্বজনীন বাস্তবতা হয়ে ওঠেনি। শুধু আলোচনা নয়, কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই।’

 

আরও পড়ুন’

» আসন বিভাজনে উত্তাল মেঘনা, দুই পথে-দুই পক্ষ

 

‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছুটা শঙ্কাও কাজ করে’— উল্লেখ করে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা এখনো রাজনৈতিক হুমকি দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের নতুন করে সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন মেজরের সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতি আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত। বিশেষ করে যারা গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, শহীদ পরিবার— সবাই এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেজন্য আমি প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেষ্ট হবেন তারা। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এই মুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি। এখন সেই অর্জন টিকিয়ে রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

 

‘এখন অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন, থেমে গেছেন। কিন্তু কিছু মানুষ এখনো দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি থামিনি, কারণ আমি তাদের দেখি। সেই সাহসই আমাদের স্বপ্নকে টিকিয়ে রেখেছে।’

18 / 5,000 আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক সম্পর্কে তথ্য

Admin

২৯ অক্টোবর থেকে ঢাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু

শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের অবসান এটাই বড় অর্জন: নাজমুল হাসান

আপডেটের সময়: ০৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি এবং দেশের সামগ্রিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, ‘৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো।

 

এই দেশ থেকে শেখ হাসিনার মতো একজন স্বৈরাচার, ভারত-অনুগত শাসনের অবসান ঘটানো।

 

আমরা বহু বছর ধরে একটি দমন-পীড়নমূলক শাসনব্যবস্থার মধ্যে থেকেছি, যেখানে একটা পোস্টার টানানো, একটা প্রতিবাদ সমাবেশ করা মানেই ছিল রিমান্ড, গুম কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যার ভয়। সেই বাস্তবতা থেকে আজ অন্তত আমরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি।’

 

আরও পড়ুন’

» ‘আমরা একটা জবাবদিহিমূলক, মানবিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব’

 

‘এখন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আগের মতো পুলিশি হামলা, গোয়েন্দা হয়রানি কিংবা রাতের বেলায় তুলে নিয়ে যাওয়ার আতঙ্ক নেই। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যাওয়া, গুমের শিকার না হওয়াই এ সময়ের একটি বড় অগ্রগতি।’

 

তবে, সব অর্জনের মধ্যেও সবচেয়ে বড় অপ্রাপ্তির জায়গা হলো– আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যার বিচার। এক বছর পার হতে চললেও কোনো মামলার বিচার শেষ হয়নি। কয়েকটি মামলার আদেশই আসেনি। ‘এটা ব্যথার’— বলেন নাজমুল। ‘আবার সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে, তাও বলা যাচ্ছে না। আমরা যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে রাজপথে নেমে ছিলাম, তার অনেকগুলো এখনো অপূর্ণ রয়েছে।’

 

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বারবার বলে এসেছি, ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। এ বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যেটা ইতিবাচক দিক। তবে, এটা এখনো সর্বজনীন বাস্তবতা হয়ে ওঠেনি। শুধু আলোচনা নয়, কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই।’

 

আরও পড়ুন’

» আসন বিভাজনে উত্তাল মেঘনা, দুই পথে-দুই পক্ষ

 

‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছুটা শঙ্কাও কাজ করে’— উল্লেখ করে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা এখনো রাজনৈতিক হুমকি দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের নতুন করে সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন মেজরের সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতি আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত। বিশেষ করে যারা গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, শহীদ পরিবার— সবাই এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেজন্য আমি প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সচেষ্ট হবেন তারা। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এই মুক্ত বাংলাদেশ গড়েছি। এখন সেই অর্জন টিকিয়ে রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

 

‘এখন অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন, থেমে গেছেন। কিন্তু কিছু মানুষ এখনো দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি থামিনি, কারণ আমি তাদের দেখি। সেই সাহসই আমাদের স্বপ্নকে টিকিয়ে রেখেছে।’