কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙা ইউনিয়নের নলচর গ্রামে চুরি করতে গিয়ে এক যুবক গ্রামবাসীদের কাছে ধরা পড়েছে। তবে এই চোরকে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার ঘৃণ্য চক্রান্ত চলছে বলে জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওচিত্রে চোর তাকে রামপ্রসাদের চর গ্রামের বলে নিজের পরিচয় দেয়।
এরপর, সে আরও বলে, রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সুপরিচিত মুখ এডভোকেট কামরুজ্জামান, হুসেইন মোহম্মদ মহসিন, নলচর গ্রামের নজরুল ইসলাম ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম তুহিনসহ বেশ কয়েকজন মোহাম্মদ রাজু আহমেদ নামের লোকটিকে দিয়ে নলচর গ্রামের রবিউল্লাহ রবির মাছের খামারের ক্ষতি করতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বলছে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য রবিউল্লাহ রবির লোকেরা একজন চোরের সাথে আমাদের নাম জড়িয়ে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, আমরা নলচরের বালু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমাদের প্রতিবাদের তোপে ও প্রশাসনের পদক্ষেপের কারণে তারা অবৈধভাবে বালু কাটতে পারে না এখন। তাই একজন মাদকাসক্ত চোরকে নির্যাতনের মুখে আমাদের নাম মুখস্থ করিয়ে ভিডিও করে প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা যেসকল কথা চোরের মুখ দিয়ে বলিয়েছে তার কোনোটির সাথেই আমাদের কেউ যুক্ত নয়। আমাদের রামপ্রসাদের গ্রামবাসীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দমিয়ে রাখার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি জানান, এর আগেও নদীতে চাঁদাবাজির এক ঘটনা দিয়ে রামপ্রসাদের গ্রামের নয় জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে এই রবি গং। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাংবাদিকদের নামও যুক্ত করেছে। মামলা দায়েরের প্রায় এক বছর হলেও পুলিশ সেই ঘটনার কোনো সত্যতা পায়নি। সবকিছু মিলিয়ে তারা আমাদের ফাঁদে ফেলার ঘৃণ্য পায়তারা করছে।
রামপ্রসাদের চর ও নলচর দ্বন্দ্ব যেখানে
দীর্ঘদিন ধরে রামপ্রসাদের চর গ্রামের পাশ ঘেঁছে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করে নলচর গ্রামের রবিউল্লাহ রবি। এর বিরুদ্ধে নানা সময় তীব্র প্রতিবাদে যুক্ত ছিলো এডভোকেট কামরুজ্জামান, হুসেইন মোহম্মদ মোহসিন ও মাজহারুল ইসলাম তুহিনরা।
এলাকাবাসী বলছে, কিছুদিন আগে রামপ্রসাদের চর গ্রামে পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নেওয়ায় এডভোকেট কামরুজ্জামানের সাংগঠনিক পদ হরণ করার জন্য ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত করে দিয়েছে। এরপর নতুন কমিটি দিলেও সেখানে এডভোকেট কামরুজ্জামানকে রাখা হয়নি।
চোরের পূর্ববর্তী কার্যক্রম
মোহাম্মদ রাজু নামক ধরা পড়া চোরের বাড়ি রামপ্রসাদের চর। গ্রামবাসী জানান, এ্ই লোক আগে থেকেই চুরির সাথে যুক্ত ছিলো। চুরি করে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে বলে জানা যায়।
এর আগে মোহাম্মদ রাজু, রামপ্রসাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মোবাইল চুরি করেছে। তুলাতুলির আনসার আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২টি মোবাইল চুরি করেছে।