কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামে মোহাম্মদ ফারুক বাদী হয়ে ৬জনকে নামসহ আসামি করে ও ৫-৭জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) মেঘনা থানা পুলিশের এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল অভিযোগ রুজু করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী মোহাম্মদ ফারুক এর পুকুরে গত শুক্রবার (১৫-৮-২৫) রাতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ইঞ্জিচালিত ট্রলার নিয়ে এসে চাষকৃত মাছের ক্ষতি করার উদ্দেশে বিষ প্রয়োগের চেষ্টা করেছিল।
এছাড়া, পুকুরের বেড়া কেটে মাছ নদীতে ছেড়ে দেওয়ারও পরামর্শ করতে থাকে বিবাদীরা।
বাদী মোহাম্মদ ফারুক এর প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি করার সময় পুকুরের পাহারদাররা দেখে ১ নং আসামীকে আটক করে। পরবর্তীতে স্থানীয় থানা পুলিশের কছে ১ নং আসামীর থেকে অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুন
» চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লো চোর, রাজনৈতিক নেতাদের ফাঁদে ফেলার পায়তারা
মামলার আসামীরা হলেন, ১. রাজু (২৫); ২. নজরুল (৫৫); ৩. তুহিন (৩২); ৪. মহসিন (৪৮); ৫. রবিউল (৪২); ৬. নিয়ন (২১)।
এদিকে, মামলার ৪ নং বিবাদী মহসিন বলেন, বাদী এজাহারে যে জায়গার কথা উল্লেখ করেছে সেই জায়গা ইউএস বাংলা ও হাজী শহিদুল্লাহ সাহেবের জায়গা। সেখানে তারা মাছ চাষ করে কীভাবে। তারা সেখানে মাছ চাষ আদৌ করে কি না তা কেউই জানেনা। আমাদের প্রতিবাদে তারা অবৈধভাবে বালু কাটতে না পেরে একজন চোরের সাথে আমাদের মানহানী করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেছেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক নং আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে অন্যান্য বিবাদীদের সম্পৃক্ততা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।