ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্দোলনকারী উত্তেজিত জনতা ভাঙ্গা থানা ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া ভাঙ্গা বড় মসজিদের সামনে এপিবিএন সদস্যরে ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় তারা দৌড়ে মসজিদের ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ভাঙ্গা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের এই আন্দোলন পুরো ভাঙ্গা উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতোদিন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামেরদীবাসী আন্দোলন করলেও আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ লাঠি-সোঠা নিয়ে মিছিল করে এসে মহাসড়ক দখলে নিয়েছে। মানুষের তোপের মুখে পিছু হঠে রাস্তা থেকে সরে দাড়িয়েছে প্রশাসন।
দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এপিবিএনর সদস্যর ওপর ও পৌনে ১ টার দিকে ভাঙগা থানায় হামলাচালায় বিক্ষোভকারী। তাদের ইটপাটকেলে কয়েকজন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়া আন্দোলনকারীরা থানার কমপেক্ষে ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
উল্লেখ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফরিদপুরের দুটি সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে গত দশদিন ভাঙ্গা উপজেলায় চলমান অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কারণে আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ কর্মসুচি পালন করতে পারেনি অবরোধকারীরা। ফলে তারা রাস্তার দুইপাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছিল। এতে যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক ছিল। তবে বেলা ১১টার দিকে কয়েক হাজার গ্রামবাসী লাঠি সোঠা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে ফের অবরোধ করে।