ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধনী-গরিব বৈষম্য নিরসনে জেগে উঠুক তারুণ্য

  • প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময়: ০৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২২৩ সময় দেখুন

রাত পোহালে পুবের আকাশে শীতের কুয়াশা ভেদ করে উঁকি মারবে রক্তিমাভা সূর্য। নতুন বছরের প্রথম সূর্যের রশ্মি ছড়িয়ে যাবে গ্রাম হতে গ্রামান্তরে। নতুন এক ভোরে শুরু হবে খেটে খাওয়া শ্রেণিদের থেকে সমাজের উঁচু স্তরে যারা বসবাস করছে সেই শ্রেণি পর্যন্ত।

আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হতাশা, রাজপথের ক্লান্তি ও জয় নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৪। বুধবারের সকলে পুব আকাশে দেখা যাবে ২০২৫ এর সেই লালচে আভা।

বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে নতুন এই বছর শুরু হোক সমতা ও ন্যায্যতার মধ্য দিয়ে। বছড় জুড়ে বাংলার কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাঁসি ফুটুক।

আমার ভাবনায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নতুন বছরে দরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার আদায়ে তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরী। তাদের হাতেই এই সমাজের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সমাজে বিশাল পরিবর্তন এনেছে। নতুন বছরে টেকসই উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি, এবং সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ কার্যকরী বাস্তবায়নের জন্য আশাবাদী।

প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ যেমন সমাজকে উন্নত করছে, তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব, এবং ডেটার অপব্যবহার রোধে সঠিক নীতিমালা প্রয়োজন।পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার নতুন পদ্ধতি যেমন অনলাইন শিক্ষা ও হাইব্রিড মডেলকে আরও কার্যকর করা দরকার।
একইসঙ্গে, মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বাড়ানো এবং এর জন্য পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম এবং জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংহতি বজায় রাখতে হবে। নতুন বছরে সহমর্মিতা, সহনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধের উপর জোর দিয়ে একটি ইতিবাচক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

নতুন বছরের সমাজ ভাবনা একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শুরু করলে, পরিবর্তিত পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ না হয়ে সম্ভাবনার ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। যেখানে তরুণ ও যুব সমাজের ভূমিকা থাকবে অনস্বীকার্য।

 

ট্যাগ :

18 / 5,000 আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক সম্পর্কে তথ্য

Admin

২৯ অক্টোবর থেকে ঢাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু

ধনী-গরিব বৈষম্য নিরসনে জেগে উঠুক তারুণ্য

আপডেটের সময়: ০৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাত পোহালে পুবের আকাশে শীতের কুয়াশা ভেদ করে উঁকি মারবে রক্তিমাভা সূর্য। নতুন বছরের প্রথম সূর্যের রশ্মি ছড়িয়ে যাবে গ্রাম হতে গ্রামান্তরে। নতুন এক ভোরে শুরু হবে খেটে খাওয়া শ্রেণিদের থেকে সমাজের উঁচু স্তরে যারা বসবাস করছে সেই শ্রেণি পর্যন্ত।

আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হতাশা, রাজপথের ক্লান্তি ও জয় নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৪। বুধবারের সকলে পুব আকাশে দেখা যাবে ২০২৫ এর সেই লালচে আভা।

বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে নতুন এই বছর শুরু হোক সমতা ও ন্যায্যতার মধ্য দিয়ে। বছড় জুড়ে বাংলার কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের মুখে হাঁসি ফুটুক।

আমার ভাবনায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নতুন বছরে দরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং নারী-পুরুষের সমান অধিকার আদায়ে তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরী। তাদের হাতেই এই সমাজের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রাকৃতিক কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সমাজে বিশাল পরিবর্তন এনেছে। নতুন বছরে টেকসই উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি, এবং সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ কার্যকরী বাস্তবায়নের জন্য আশাবাদী।

প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ যেমন সমাজকে উন্নত করছে, তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব, এবং ডেটার অপব্যবহার রোধে সঠিক নীতিমালা প্রয়োজন।পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার নতুন পদ্ধতি যেমন অনলাইন শিক্ষা ও হাইব্রিড মডেলকে আরও কার্যকর করা দরকার।
একইসঙ্গে, মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বাড়ানো এবং এর জন্য পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করা জরুরি। বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম এবং জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংহতি বজায় রাখতে হবে। নতুন বছরে সহমর্মিতা, সহনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধের উপর জোর দিয়ে একটি ইতিবাচক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

নতুন বছরের সমাজ ভাবনা একটি গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে শুরু করলে, পরিবর্তিত পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ না হয়ে সম্ভাবনার ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। যেখানে তরুণ ও যুব সমাজের ভূমিকা থাকবে অনস্বীকার্য।